চারটি কুকুরকে বিষ খাইয়ে হত‍্যার প্রতিবাদে সরব হরিপালের বন্দীপুর গ্ৰামবাসী

16th June 2020 7:26 pm হুগলী
চারটি কুকুরকে বিষ খাইয়ে হত‍্যার প্রতিবাদে সরব হরিপালের বন্দীপুর গ্ৰামবাসী


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : চারটি সরামেয়কে বিষ দিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল। হুগলীর হরিপালের বন্দীপুর গ্ৰামের এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভের ডানা বেধেছে হয়েছে এলাকা জুরে। " বিষ নয় বিস্কুট চাই "  সারমেয়দের হত‍্যার বিচার চাই " এই দাবিতে  এলাকায় পোষ্টার দেন স্থানীয় পশু প্রেমীরা ।  পশু হত‍্যায় দোষীদের শাস্তি চেয়ে হরিপাল থানায় বিষয়টি লিখিত জানিয়েছে এলাকার বাসিন্দারা।স্থানীয় বাসিন্দাদের  অভিযোগ, গত রবিবার  বন্দীপুর এলাকায় তরতাজা চারটি  কুকুরকে মৃত অবস্থায় পরে থাকতে দেখা যায়। কেউ বা কারা খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে কুকুর গুলোকে হত‍্যা করেছে বলে গ্ৰামবাসীদের অভিযোগ । এর আগে এই রকমের ঘটনা এলাকায় ঘটেছে। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। পঞ্চায়েত ও পুলিশ প্রশাষনের  নির্দেশে সোমবার রাতেই কুকুর গুলোকে এলাকায় কবর দেবার ব‍্যবস্থা করেন স্থানীয়রাই। এই ঘটনার পিছনে দোষী ব‍্যক্তির অবিলম্বে শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে এলাকাবাসী।।
 বন্দিপুর পঞ্চায়েতের উপ প্রধান গোবিন্দ চন্দ্র গায়েন ঘটনার নিন্দা করে  বলেন,  কয়েকটা কুকুরকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যাবার খবরে বন্দিপুরে আমি গিয়াছিলাম। গ্ৰামবাসীরা লিখিত কিছু দিলে বিষয়টা খতিয়ে দেখা হবে "।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।